
অনলাইন ডেস্ক:
এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেট ৮৫০১ বিমানটির নিখোঁজ ১৬২ আরোহীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা গেছে। আজ সকালে আরো ৭ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে উদ্ধারে অংশ নেওয়া একটি মার্কিন জাহাজ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে। গতকাল পর্যন্ত মোট ৯ জনের লাশ উদ্ধারের কথা বলা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সির অপারেশন কো-অর্ডিনেটর সুরিয়াদি বি. সুপ্রিয়াদি অাজ আরো ৭ জনের লাশ উদ্ধারের এ একথা জানান। খবর দ্য হিন্দুর
এদিকে, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্ল্যাক বক্স, ফ্লাইট ডেটা ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধারের লক্ষ্যে আজ ভোরের আগেই জাভা সাগরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ অবস্থান করছে। তিনটি হেলিকপ্টারসহ দুটি জাপানি জাহাজও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পথে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধ্যান ও উদ্ধার এজেন্সির প্রধান হেনরি বাংবাং সুয়েলিস্তো একথা জানিয়েছেন। অাবহাওয়া ভালো থাকলে আজ উদ্ধার অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে, উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে একজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম হায়াতি লুতফিয়াহ হামিদ। তিনি বিমানটির একজন যাত্রী ছিলেন। তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য মরদেহগুলোর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পরিচয় সনাক্তের লক্ষ্যে বিমানটির যাত্রীদের স্বজনদের কাছ থেকে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য সুরাবাইয়ার জুয়ানদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে একটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়ার জুয়ানদা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৪৫ মিনিট পরই বিমানটি জাভা সাগরের উপরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির ১৬২ জন আরোহীর সবার নিশ্চিত মৃতু্য হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত